Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
গ্রাম পুলিশ
বিস্তারিত

গ্রাম পুলিশের ক্ষমতা ও কার্যাবলী

 

 

১। তিনি দিনে ও রাতে ইউনিয়নে পাহারা ও টহলদারী করা।

২। অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় অনুসন্ধান ও দমন করবেন এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সাধ্যমত পুলিশকে সহায়তা করা।

৩। চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদকে সরকারী দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা।

৪। অন্য নির্দেশ না থাকলে প্রতি ১৫দিন অন্তর এলাকার অবস্থা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা।

৫। ইউনিয়নের খারাপ চরিত্রের লোকদের গতিবিধি লক্ষ্য করবেন এবং মাঝে মাঝে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা। পার্শ্ববর্তী এলাকা হতে আগত কোন সন্দেহজনক ব্যক্তির উপস্থিতি সম্পর্কেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা।

৬। ইউনিয়নে লুকিয়ে থাকা কোন ব্যক্তি, যার জীবন ধারনের জন্য প্রকাশ্য কোন আয় নেই যা যে তার নিজের পরিচয় সম্পর্কে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারে না, এমন লোক সম্পর্কে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট রিপোর্ট প্রদান কর।

৭। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সে সকল বিষয় সম্পর্কে অবহিত করবেন, যা বিরোধ, দাংগা-হাঙ্গামা বা তুমুল কলহ সৃষ্টি করতে এবং জনগনের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।

৮। ইউনিয়নের নিম্নলিখিত অপরাধ সংগঠন বা সম্পাদনের অভিপ্রায় সম্পর্কে কোন তথ্য অবহিত হলে তা অনতিবিলম্বে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন, যেমন-

(ক) দাংগা-হাংগামা

(খ) গোপনে মৃতদেহ সরিয়ে জন্ম সংক্রান্ত তথ্য গোপন করা,

(গ) কোন শিশুকে বাড়ী হতে বের করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া,

(ঘ) আগুনের সাহায্যে সংঘটিত ক্ষতি,

(ঙ) বিষ প্রয়োগে গবাদী পশুর অনিষ্ট বা ক্ষতি করা,

(চ) নরহত্যা বা আত্মহত্যার প্রচেষ্টা এবং উপরে উল্লেখিত অপরাধ সংঘটন বা অপরাধ সংঘটন করার প্রচেষ্টা।

৯। উপরে উল্লেথিক অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধ অথবা আদালতে গ্রহনযোগ্য যে, কোন অপরাধ বন্ধ করতে বা বন্ধ করার উদ্যেশ্যে মধ্যস্থতা করার ক্ষেত্রে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

১০। জন্ম ও মৃত্যু রেজিষ্টার সংরক্ষণ এবং এলাকার সব জন্ম ও মৃত্যু সম্পর্কে ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করবেন।

১১। মানুষ বা পশু বা ফসলের মধ্যে কোন মহামরী বা সংক্রামক রোগ বা পোকার আক্রমন ব্যাপক আকারে দেখা দিলে তৎক্ষনাৎ ইউনিয়ন পরিষদকে এ সম্পর্কে অবহিত করবেন।

১২। কোন বাধে বা সেচে ক্ষতি বা ক্রটি দেখা দিলে অনতিবিলম্বে ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করবেন।

১৩। সরকারী কাজের উদ্দেশ্যে যে কোন স্থানীয় তথ্য সরবরাহ করবেন।

১৪। খাজনা অথবা ভূমি উন্নয়ন কর, স্থানীয় কর, ফি বা অন্য পাওনা সংগ্রহ ও আদায়ে তিনি রাজস্ব কর্মচারীদের সহায়তা করবেন।

১৫। অধ্যাদেশের অধীনে কোন অপরাধ সংঘটন াব সংঘটনের অভিপ্রায় সম্পর্কে জ্ঞাত হলে বা জানতে পারলে তা ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করবেন।

১৬। ইউনিয়ন পরিষদের বা ইউনিয়ন পরিষদের অধিকারে ন্যাস্ত কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষতি সাধন বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা অন্যায় দখল কম্পর্কে তিনি অবিলম্বে ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত এবং এ ধরনের ক্ষতি, প্রতিবন্ধকতা বা অন্যায় দখল রোধ করার জন্য মধ্যস্থতা করতে পারবেন।

১৭। ইউনিয়ন পরিষদের নির্দেশে কোন বাসিন্দার আবাসস্থল ও সম্পত্তির উপর পরোয়ানা জারী করতে পারবেন।

১৮। গ্রাম পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ও ওয়ারেন্ট বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে গ্রেফতার করতে পারবেন:

(ক) আমলযোগ্য অপরাধের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি বা যার বিরুদ্ধে যথার্থ অভিযোগ উত্থাপন কার হয়েছে বা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে বা কোন অপরাধমূলক কাজের সহিত জড়িত থাকার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে।

(খ) বৈধ কারণ ছাড়াই কোন ব্যক্তির কাছে ঘর ভাংগার সরঞ্জাম পাওয়া গেলে।

(গ) সরকারের কোন আদেশ বলে বা ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির (১৮৯৮ সালের ৫নং আইন) অধীন কোন ব্যক্তিকে যদি অপরাধী ঘোষনা করা হয়।

(ঘ) যে কোন ব্যক্তি যার অধিকারে এমন সকল দ্রব্য বা মাল রয়েছে যা চোরাই মাল বলে সন্দেহ করার যথার্থ কারণ রয়েছে বা এ মাল দেখে সে কোন অপরাধ সংঘটনের সাথে জড়িত আছে বলে যথার্থ ভাবে সন্দেহ হলে।

(ঙ) বৈধ হেফাজত বা তত্ত্বাবধান হতে কোন ব্যক্তি পালিয়ে গেলে বা পালাবার চেষ্টা করলে।

(চ) কোন ব্যক্তি কোন সরকারী কর্মচারীকে তার সরকারী দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে।

(ছ) এমন কোন ব্যক্তি যাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী বা বিমান বাহিনীর পলাতক সৈনিক বলে যথার্থ ভাবে সন্দেহ হলে।

(জ) মুক্তিপ্রাপ্ত কোন অপরাধী ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির (১৮৯৮ সালের ৫নং আইন ৫৬৫ ধারায়) (৩) উপধারার কোন বিধান ভংগ করলে।

১৯। সাধারণ লোক কোন ব্যক্তিকে বৈধভাবে গ্রেফতার করলে তিনি তাদের সাহায্যে করবেন এবং দেরী না করে এ ধরনের গ্রেফতার সম্পর্কে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।

২০। গ্রামে কর্মরত সরকারী কর্মচারী বা কোন সাধারণ লোক সাময়িক ভাবে বলবৎ কোন আইন বলে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলে তিনি তার দায়িত্ব গ্রহন করবেন এবং তিনি যে ব্যক্তির বা ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন বা তিনি নিজেই যে ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছেন তাদেরকে অনতিবিলম্বে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, রাতের অন্ধকারে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হলে তাকে বা তাদেরকে গ্রামে বৈধ তত্তাবধানে রাখা যেতে পারে। কিন্তু পরদিন সকালে সম্ভাব্য তাড়াতাড়ি সময়ে তাদেরকে থানায় হাজির করতে হবে।

২১। বিভিন্ন সময়ে আইন অনুযায়ী তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। উপরোক্ত কার্যাবলী ছাড়াও গ্রাম পুলিশ এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।